এ উপলক্ষে মোদি একটি ভিডিও বার্তা প্রেরণ করবেন বলে বুধবার জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
এছাড়া ভারত ১৫০টি অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে সরবরাহ করবে বলেও জানান তিনি।
ভারত সফররত বাংলাদেশের ২০ সদস্যের মিডিয়া প্রতিনিধিদের সাথে হায়দরাবাদে এক মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে মতবিনিময়কালে এসব তথ্য জানান শ্রিংলা।
তিনি জানান, ১৫০টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে ১০০টি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবং বাকি ৫০টি বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য সরবরাহ করা হবে।
অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করার বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য একটি উপহার, যে বিষয়ে পরে তিনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।
শ্রিংলা বলেন, ‘এটি একটি জনকেন্দ্রীক ধারণা, যা মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ বাড়াবে।’
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর, জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য গৃহীত বছরব্যাপী কর্মসূচি পুননির্ধারণ করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আগামী ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে নির্ধারিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়েছে এবং তা পরে অনুষ্ঠিত হবে। ব্যাপক জনসমাগম এড়িয়ে অন্যান্য কর্মসূচিগুলোও পর্যায়ক্রমে উদযাপিত হবে।
গত রবিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানার উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কর্মসূচি পুনর্নির্ধারণের পর ১৭ মার্চ নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের স্থগিতাদেশের বিষয়টি সোমবার নিশ্চিত করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে ভারত সরকার।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, ‘অনুষ্ঠানের নতুন তারিখগুলো আমাদেরকে পরে জানানো হবে বলে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।’
পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে করোনাভাইরাসের বিস্তার মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে ভারত প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগামী ১৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল।